সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত” বাগেরহাটের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আগামী ২৫-২৬ সেশনের কমিটি ঘোষণা ও আমীরের শপথ সাংবাদিক কামরুজ্জামান শিমুলকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন বাগেরহাটে যুবকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা বাগেরহাটে যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃসুজন মোল্লার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ বাগেরহাটে সাংবাদিক শিমুলকে হত্যার হুমকি, ফেসবুকে নিন্দা’র ঝড় ৭৪ বছরে মোংলা বন্দর: সম্ভাবনার নতুন দুয়ার  শীতের শুরুতেই বাগেরহাটে আশা’র কম্বল বিতরণ বাগেরহাটে প্রদর্শিত  হলো নাটক “আর কতবার”
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে

কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কামারখন্দের খামারীরা

রিপোর্টারের নাম / ১৩৯ টাইম ভিউ
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১

নাজমুল হাসান, সিরাজগঞ্জঃ
আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে ঘিরে পশু মোটাতাজা করতে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার গরু মোটাতাজাকরণের পেশায় নিয়োজিত সাধারণ খামার মালিক ও পালনকারীরা। তার পাশাপাশি করোনার প্রভাব বিস্তার করায় গত বছরের মত এ বছরেও পশুর দাম  ও বিক্রি নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারী ও পালনকারীরা। 
সরেজমিনে খামারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশুগুলো নিয়ে গবাদি মোটাতাজাকরণের সকল কার্যক্রম চলমান রেখেছে খামারিরা।
 গো-খাদ্যের সংকট ও দাম বৃদ্ধির পরও এ বছর উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার ৯৭০ জন গবাদি পশু  খামারি ও পালনকারী প্রায় ১২ হাজার ৬শ’ ৪৭টি গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছেন কোরবানির পশু হাটে বিক্রির জন্য। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। 
যেখানে কামারখন্দের পশু কোরবানির চাহিদা সব মিলে প্রায় ৬ হাজারের মত।  অনেকে বাজার যাচাইও করেছেন। উপজেলায় কোরবানীর জন্য মোটাতাজাকরণ গবাদি পশুর উপজেলায় এর চাহিদা রয়েছে ৪৫ ভাগ আর ৫৫ ভাগ পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হয়। জেলার বাইরের ব্যাপারীরা না আসলে অনেক পশু অবিক্রির আশঙ্কা করছেন খামারীরা।
উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের গরু খামারী অর্নব সরকার বলেন, কোরবানী ঈদকে উদ্দেশ্য করে কিছুটা লাভের আশায় খামারে ৩০টি গরু মোটাতাজা করেছি। উপজেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেপারীরা এসে এই এলাকার পশু কিনে নিয়ে যান। কিন্তু এবছর করোনার কারণে জেলার বাইরের কোন বেপারীদের এখন পর্যন্ত দেখা পায়নি। এলাকার দু’একজন ব্যাপারি এসে দেখে গেছে ।  আমি খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি এ কারণে, গরুগুলো এবছর আশানুরুপ দামে বিক্রি না করতে পারলে আমার লোকসান হবে।
এদিকে খামার মালিক ও গবাদি পশু পালনকারীরা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা পশু নিয়ে ভয়ে আছি, যদি লকডাউন হয় তাহলে জেলার বাইরের বেপারি না আসে তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির হবে।
কামারখন্দ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু ছাঈদ বলেন, এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশু চাহিদার তুলনায় দিগুণ  উৎপাদন হয়েছে । আশা করছি এখানকার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের চাহিদার অংশিদার হবে। তবে করোনার থাবা চারিদিক  ঈদের আগে লকডাউন হলে খামারিদের লোকসান হতে পারে । 
তিনি আরও বলেন, অনলাইন গবাদি পশু ক্রয় বিক্রয় হাট, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ হাট নামে একটি ওয়েবসাইট চালু রয়েছে, কোন খামারি চাইলে এখান থেকে গরু কেনাবেচা করতে পারবে । এতে করে ক্রেতা বিক্রেতারা করোনা ঝুঁকি থেকে রেহাই পাবে পাশাপাশি আমাদের যে উদ্দেশ্য সেটাও সফল হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর