মিশকাতুজ্জামান,নড়াইল:মাশরাফির হস্তক্ষেপ কামনা করে নড়াইলে ক্ষতি পুরনের দাবিতে তুলারামপুর দোকান মালিক ব্যবসায়িদের মানববসন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের নড়াইল-যশোর মহাসড়কের তুলারামপুর বাজারে সামনে এ মানববন্ধন হয়।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তুলারামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান,সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, তুলারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অঙ্গদ কুমার বিশ্বাস , যুবলীগের সাধারন সম্পাদ মোঃ খুরশীদ আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদ মোঃ দেলোয়ার হোসেন লিটন,সমাজ সেবক ডাঃ ইন্দ্রজিত দাস প্রমূখ।
এ ছাড়া মোঃ কামাল হোসেন সহ ক্ষতিগ্রস্থ ১২০ টি দোকানের মালিক গন মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তুজার সাহায্য চেয়ে বক্তারা বলেন, তুলারামপুর বাজারের সামনের ব্রীজ প্রসস্থ্য করার কারনে আমাদের বাজারের ১২০টির অধিক দোকান অপসারন করতে চাইলে আমরা সরকারের উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা করার জন্যে ভেঙ্গে ফেলতে একেমত হয়ে ভেঙ্গে ফেলি। আমরা আর্থিক ও মানষিক ভাব ক্ষতিগ্রস্থ হই।
আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সেতুু নির্মান প্রতিষ্ঠান জাইকার অধীনে ক্রসবর্ডার রোড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ও ওসিজি ( ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল কনসালটেন্ট) এবং বেসরকারী পরামর্শ কেন্দ্র সমাচার যোগাযোগ করে। আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ্য দোকানদারদের যাচাই করে নামের তালিকা প্রস্তুত করে।
তারা সকল দোকানদারদের সোনালী ব্যাংকে আলাদা আলাদা ব্যাংংক হিসাব খোলায় এতে করে আরো ২/৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। কিন্ত দুই বছর ধরে বিলম্ব করাচ্ছে আমাদের ক্ষতিপুরনের টাকা দিচ্ছেনা। এতে করে অনেক দোকানের মালিক বেকার হয়ে পথে পথে ঘুরছে। আর কেউ কেউ নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে তাদের দায়ভার কে নেবে। দোকান মালিকরা অতিসত্তর ক্ষতিপুরনের টাকা করে আরো বলেন,টাকা না পেলে আমরা অনশন করবো এবং তাতে যদি কাজ না হয় তাহলে সড়ক অবরোধ করার হুমকি দেয়।
সওজ সড়ক বিভাগ নড়াইল হতে জানা যায়,নড়াইল বিভাগাধীন ভাটিয়াপাড়া কালনা লোহাগড়া নড়াইল যশোর (এন-৮০৬) জাতীয় মহাসড়কের ৩২ তম কিলোমিটারের “ক্রস বর্ডার নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তুলারামপুরের আফরা নদীর উপরে ২০১৯ সালে সেতু প্রসস্থ্য করনের জন্য নতুন সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয়। তবে সড়ক বিভাগ নড়াইল জানায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কালনা ব্রিজ প্রকল্পের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দোকান মালিকরা কেন ক্ষতিপুরনের টাকা পাচ্ছেনা তার সুনির্দিষ্ট কারন আছে। ব্যাবসায়িদের প্রতিনিধিরা আমার কাছে আসলে বিস্তারিত জেনে বিধিসম্মত হলে সড়ক বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে চেষ্টা করবো যাতে করে ব্যাবসায়িরা সত্ত্বর ক্ষতিপুরন পায়