বাগেরহাট জেলা যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দ সুজন মোল্লা
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে যুবদলের বাগেরহাট জেলা কমিটি। সেই সাথে জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইয়ুুব আলী মোল্লা বাবুসহ ১০ জনকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন। গত ১৪ আগস্ট যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ হারুন আল রশীদকে সভাপতি এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে বাগেরহাট জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। কেন্দ্র ঘোষিত প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে মোঃ সুজন মোল্লার নেতৃত্বে যুবদলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পরার মতো। আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত এ জেলার যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা হামলা মামলার শিকার হলে তাদের পাশে সবসময় সাহায্য সহযোগিতার হাত ছিল সব সময়। অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি মাইম্যান ইত্যাদি কোন কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি জেলা যুবদলের এ দুই নেতার নামের আগে। জেলায় নির্যাতিতের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মী। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে যুবদল কর্মী গুম ও নিহত হয়েছে। যুবদলের শতশত নেতা কর্মী মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছে বার বার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যুবদলের নেতাকর্মীদের নামেই মিথ্যা মামলা বেশি ছিল। বর্তমান সময়ে বাগেরহাট জেলা যুবদলে আলো ছড়াচ্ছেন সাবেক ছাত্রনেতা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা। যিনি ১৯৯৬ সালে বাগেরহাট পৌরের ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৯৮ সালে বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী খান জাহান আলী ডিগ্রি কলেজ এবং ১৯৯৯ সালে সরকারি পিসি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে নির্বাচিত হন বাগেরহাট পৌর ছাত্রদলের সভাপতি। ২০০৬ সালে বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১১ সালে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন সুজন মোল্লা। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তাকে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন ২০১৮ সালে। সুজন মোল্লা জেলার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মামলার আসামি এবং কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। যুবদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সুজন মোল্লার নাম। স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত দলের স্বপ্ন পূরণ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে রাজনীতি করে যাচ্ছেন সেই সাথে ব্যাপক মানবিক ও সামজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। যুবদলকে সুসংগঠিত করে নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। একজন যোগ্য নেতা হিসেবে দলের নেতাকর্মী ও জনগণের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে তার। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলা যুবদলের আগামী কমিটিতে তাদের পছন্দের তালিকায় সর্বপ্রথমে রয়েছে সুজন মোল্লার নাম। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, সুজন মোল্লা ভালো সংগঠক, কর্মীবান্ধব, নিষ্ঠাবান এবং রাজপথের সাহসী যোদ্ধা। সর্বোপরি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত টগবগে যুবক। রাজনীতিতে স্বজন প্রীতি কিংবা মাইম্যান থাকলেও তার কাছে এসবের কোন ভিত্তি নেই। তিনি তৃণমূল থেকে সকল শ্রেণীর নেতার কর্মীকে আপন করে নিয়েছেন। একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের ক্ষুদ্র কর্মীও তার সাথে দেখা করতে পারেন কথা বলতে পারেন। সে আস্থা তার উপরে রয়েছে।