সাবিক ওমর সবুজ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃগোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ ও TEER এর মাধ্যমে তক্ষক উদ্ধার
রবিবার বিকাল চারটায় বগুড়া সদরের কাঠনারপাড়ায় একটি বাসায় তক্ষত পাওয়ার গোপন খবর আসে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষাথীদের পরিবেশবাদী সংগঠন Team for Energy and Environmental Research (TEER) এর কাছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার পর সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এর নির্দেশে এবং বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিট এর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক এর পরামর্শে ফরেষ্টার জনাব সামছুল আলম ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে তক্ষকটি বাংলাদেশ বন বিভাগের “সামাজিক বন বিভাগ বগুড়া”এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তক্ষক দেখতে পিটের দিক ধূসর,নীলচে- ধূসর, নীলচে- বেগুনি। সারা শরীর লাল, সাদা,ধূসর ফোটা থাকে। এরা কীট,ছোট পাখি ও সাপ খেয়ে জীবন ধারন করে। এদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব গুজবেই সীমাবদ্ধ থাকলেও পরিবেশগত গুরূত্ব অপরিসীম।
তীর এর সভাপতি মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, প্রাণীটি বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী সংরক্ষিত হওয়ায় আমাদের দেশের হুমকির মুখে থাকা প্রাণীটিকে রক্ষায জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিগত বেশ কয়েকবার বগুড়ায় আমরা বন বিভাগের সহায়তায় তক্ষক উদ্ধার করেছি প্রতিবারই এদের মূল্য নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ভাঙ্গতে উক্ত এলাকা গুলোতে আমরা মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করেছি।তক্ষকটি বন বিভাগ বুঝিয়ে পাওয়ার পর নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন Team for Energy and Environmental Research (TEER) এর সভাপতি মোঃ রাকিবুল হাসান ও সাধারন সম্পাদক মোঃ রিফাত হাসান কে নিশ্চিত করেছেন সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর সম্মানিত বন সংরক্ষক ।
তীরের সম্মানিত উপদেষ্টা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মোঃ আরিফুর রহমান পায়েল বলেন তক্ষক (ইংরেজি: Gecko, বৈজ্ঞানিক নাম:Gekko gecko) গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। এটির কোটি টাকা নিয়ে যে গুজব প্রচলিত হয়েছে তা কেবল ধোকাবাজি তা মানুষকে প্রতিনিয়তই বোঝানো চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা(তীর)। আমাদের একক প্রচেষ্টায় নয় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কেবল বাংলাদেশে এই প্রাণীটি অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখতে পারে।