বগুড়ার শেরপুরে আদিবাসী পল্লীতে বাণিজ্যিকভাবে তৈরী হচ্ছে দেশী চোলাই মদ
মোঃ শাজাহান (ভ্রাম্যমান) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে আদিবাসী পাড়া গুলোতে তৈরী হচ্ছে দেশী চোলাই মদ। উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের আদিবাসীরা তাদের সংস্কৃতির নামে চোলাই মদের সফল ও জমজমাট ব্যবসায় মেতে উঠেছে। এলাকার কিছু ধান্দাবাজ অন্য গোত্রের লোভী মানুষ তাদের সরলতার সুযোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুধী সমাজ। তাদেরকে অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে এই ব্যবসা করাচ্ছে বলেও জানান তারা। বিশালপুর ইউনিয়নের রানীহাট মাদ্রাসা পুকুরের পশ্চিম পাড় ও চুরকুটা আদিবাসী পাড়ায় গভীর রাত্রিতে আদিবাসী পরিবারের মেয়েরা চোলাই মদ তৈরী করে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে । অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে গুঞ্জনের সত্যতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আদিবাসী যুবক কাজকর্ম না থাকার অজুহাতে বলেন, বর্তমান সময় মাঠে কাজ কর্ম না থাকায় চোলাই মদ তৈরী করা হচ্ছে । কারণ অল্প পূঁজিতে লাভ বেশী হয়। আমরা নিজেরাও খাই মানুষের কাছেও বিক্রি করি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আদিবাসী ছাড়া অন্য ধর্মের খদ্দেরই বেশী। কোনো কোনো পেশাদার খদ্দের মদ তৈরীর জন্য টাকাও দিয়ে যায়। এলাকাবাসির মতে কৃষ্টিকালচারের নামে আদিবাসীরা দিনের পর দিন বেপরোয়া ভাবে ভয়াবহ এই মাদক তৈরী করে আসছেন। সচেতন মহলের দাবী, আদিবাসীদের কে আইনের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে অত্র এলাকার যুব সমাজ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা মাদকের ছোবলে বিপদগামী হবে। এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা বিভিন্ন ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছি এবং এই অভিযান অব্যহত থাকবে। আদিবাসীদের বিষয়ে বলেন, আইনী কিছু জটিলতার কারণে আদিবাসী পল্লী হতে চোলাই মদ তৈরীর প্রচলন কে নির্মুল করা সম্ভব হচ্ছে না।