আবারও নাটকীয়তা :নিপুণ নয় সাধারণ সম্পাদক পদ জায়েদের
দেশ বাংলা, ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে জয়ী জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া চিঠির কার্যক্রমও স্থগিত করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা নিপুণের পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার জায়েদ খানের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশে জায়েদ খানের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথী ও আহসানুল করিম।
আদালতের এ রায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান জানান, সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে আপিল বোর্ডকে বলেছেন আদালত। তিনি বলেন, ‘আমার অধিকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঠিক নিয়মে নির্বাচনে আমি জয়লাভ করেছি। কিন্তু বেআইনি চিঠির ভিত্তিতে আমাকে আপিল বোর্ড বাদ দিয়ে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।’
জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘নিপুণ আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বোর্ডকে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা এবং জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চিঠি এবং আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নানা ঘটনার পর গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এই নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত আপিল বোর্ডের সভার পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়েছে। এর আগে ভোটের পর নিপুণ অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুললেও জায়েদ তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল আপিল বোর্ড।