আত্মসাৎকারী ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পন্য পরিবহন ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
পণ্য পরিবহনের শর্ত ভঙ্গ ও বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা ও আত্মসাৎকারীর পক্ষ নেয়ায় পুলিশের এসআই ফয়সাল ও পণ্য পরিবহন চালক শামীমের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পন্য পরিবহন ব্যবসায়ী তোফায়েল ইসলাম তুষার। বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলাধীন মধূমতি পরিবহনের প্রধান নির্বাহী তোফায়েল আহমেদ তুষার রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রেসক্লাব মোল্লাহাটে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান,
গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকা ভাড়ায় ঢাকা মেট্রো ন ১৩-৪৯২৮ নং গাড়ি তেরখাদার আজগড়া এলাকা হতে ৪লাখ ২০ হাজার ১’শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার সবজি ও ফল বোঝাই করে কুমিল্লার নিমসা বাজারের নাজির বাণিজ্যালয়ের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এরপর ওই গাড়ির চালক তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় বিভিন্ন উপায়ে খোঁজার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টায় জানতে পারেন গাড়িটি ঢাকার মিরপুর শাহআলী ফল মার্কেটের পাশে আছে। পরে ওই এলাকার আড়ৎদার জনৈক সুমন ও বিল্লাল এর সহযোগীতায় উক্ত গাড়ি আটক করা হয়। এ নিয়ে শাহাআলী ফল মার্কেট এলাকায় শোড়গোল হলে গাড়ি রেখে চালক শামীম পালিয়ে যায়। এরপর জানতে পারেন ওই গাড়ির চালক আবেদ আলী ওরফে শামীম সকল পন্য বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ওই ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে সংশ্লিষ্ট দারুস সালাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পন্য পরিবহন ব্যবসায়ী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই ফয়সাল ও এএসআই আশরাফের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যায়। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে মিমাংসা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক লাখ টাকা অনৈতিকভাবে দাবি করে। উক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসআই ফয়সাল বড় অংকের মাধ্যমে গোপনে গাড়িটি তার মালিকের কাছে দিয়ে দেয়। এছাড়াও এসআই ফয়সালের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ঢাকা থেকে ফিরে আসতে হয়। এর যথাযথ তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এবিষয়ে শাহআলী থানার এসআই ফয়সাল মুঠোফোনে জানান, তিনি কোন প্রকার অনৈতিকভাবে কিছুই দাবি করেন নাই, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন, পরিবহন মালিক মামলা করতে চাইলে তাকে বলা হয়েছে পন্য/মালের মালিক মামলা করতে পারেন।